কানাডায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৮ জন। আর ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৭ শত ১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, অন্টারিও, কুইবেক ও আলবার্টায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যা জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রদেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে করোনা টিকার কোনো ঘাটতি যেন না পড়ে, সেজন্য কয়েক কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করেছে কানাডা। চুক্তি হয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এ জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি শেষে কয়েক কোটি ডোজ সুরক্ষিত রাখার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কানাডার বৃহত্তম প্রদেশ অন্টারিওর হাসপাতালগুলো অধিক সংখ্যক করোনা রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঐচ্ছিক অস্ত্রোপচারসহ জরুরি নয় এমন চিকিৎসা কমিয়ে আনতে শুরু করেছে। এ ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট শুক্রবার বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে অন্টারিওর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সক্ষমতা এক হাজার শয্যা পর্যন্ত বেড়ে যাবে।
অন্যদিকে কানাডায় প্রবেশ ও দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণকে নতুন করে সীমিত করার কথা ভাবছে সরকার। ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আগামী এক মাসের জন্য ফ্লাইট স্থগিত করেছে কানাডা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর কঠোরভাবে গুরুত্বারোপ করা করেছে দেশটির সরকার।